আমাদের বিশ্বাস, মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন পরীক্ষায় পাশ করে আসা শিক্ষার্থীরা সার্বিকভাবে বিভিন্ন মাত্রার মেধার অধিকারী। এ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যত। এদের যথাযথ প্রতিষ্ঠার উপরেই নির্ভর করছে আগামী দিনের সাফল্য। কিন্তু দুংখের বিষয় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এসে তাদের প্রয়াস নানা কারণে বিঘ্নিত হয়।বিভিন্ন কারণের মধ্যে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি যথাযথভাবে অনুধাবন না করতে পারা অন্যতম। তবে বিপর্যয়ের ক্ষেত্র যাই হোক না কেন, তাদের এই বিপর্যয় জাতির ভবিষ্যতের জন্য মারাত্নক হুমকি স্বরূপ। তাই এ বিপর্যয় থেকে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।এ বোধ থেকে রংপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুধাবন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন :
- রুটিন অনুযায়ী শ্রেণিতে মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে পাঠদান এবং নিয়মিত টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ব্যবস্থা;
- দ্বি-বার্ষিক পাঠ-পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করার ব্যবস্থা;
- অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা গ্রহেণের পর উত্তরপত্র মূল্যায়নের পর শিক্ষার্থীকে উত্তরপত্র দেখানোর ব্যবস্থা;
- অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফল এবং শিক্ষার্থীর কলেজে উপস্থিতির প্রতিবেদন অভিভাবককে অবগত করা ব্যবস্থা;
- দৈনিক ভিজিলেন্স টীম-এর কার্যক্রম নিশ্চিতকরণ(প্রতিদিনের ক্লাস হচ্ছে কি না, ছাত্র/ছাত্রীরা ক্যাম্পাসের ভিতর নিয়ম বহির্ভূত আচরণ করছে কি না এবং ক্লাস ফাঁকি দিচ্ছে কি না, তা তদারকি করাই ভিজিলেন্স টীমের কাজ);
- শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকের সাথে মতবিনিময় সভার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে;
- সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে পাশাপাশি কলেজসমূহের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকসহ অত্র কলেজের শিক্ষকদের ইন-হাউজ কর্মশালার ব্যবস্থা;
- মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য কলেজের সকল শিক্ষকের ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পাঠদানকে প্রানোবন্ত করবে।
- উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে নির্ধারিত পোশাক ছাড়া ক্লাসে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় না।